গঙ্গা দশহরা, কাশী 2024


মোঘল শাসনের অবসানের পর থেকেই বারাণসীর গঙ্গায় একের পর এক ঘাট নির্মিত হয়েছে। হয়েচে ঘাটের সংলগ্ন অট্টালিকা, প্রাসাদ ও রাজমহল। ব্রিটিশ চিত্রশিল্পী উইলিয়াম হজেস, টমাস ড্যানিয়েল থেকে শুরু করে জেমস প্রিন্সেপ যখন বেনারস নিয়ে মাতোয়ারা। ফ্যানি পার্কস মারিয়া গ্রাহাম সহ আরও অনেকে ছবি আঁকে মুগ্ধ হয়েচে এই কাশীর প্রেমে। মিরজা গালিবের চিরাগ-এ-দাইর কে ভুলতে পারে। কথা হল কাশীর মহাত্য এই গঙ্গার জন্য। সৌন্দর্যও তাঁরই জন্য। কল্পনা করুন কাশী গেলেন আর নদী পেলেন না। পাথরের সেই ঘাটের অপরের অট্টালিকা গুলোর পায়ের তলায় যে নদী বয়ে যেত সেখানে দূর পর্যন্ত সুধুই ধু ধু মাঠ!
ব্রহ্মপুরাণ অনুসারে জ্যৈষ্ঠ শুক্ল দশমীতে গঙ্গা স্নান করলে নাকি তিনটি শারীরিক, চারটি মৌখিক ও তিনটি মানসিক পাপ সহ দশ প্রকার পাপ মোচন হয়ে যায়। ছয়টি দোষ সমাধান হয়। গঙ্গার জলে উপস্থিত বৈশিষ্ট্যগুলি গ্রহগুলির অশুভ প্রভাব দূর করে। বিভিন্ন গ্রহ দোষ, মাতৃ ও পিতৃ দোষের যন্ত্রণা প্রশমিত হয়। যে কোনো রোগ, দুর্যোগ ও ভয়-বন্ধন থেকেও মুক্তি পায়। সর্বার্থ সিদ্ধ যোগ, রবি যোগ এবং অমৃত সিদ্ধি যোগের সাথে গঙ্গা অবতারনা উৎসব ১৬ই জুন উদযাপিত হবে। গঙ্গা ভারতীয় সমাজে দেবী রুপেই পূজিত হন। কিন্তু আদৌ কি তা সত্যি?  
কাশির ঘাটে বর্তমানে আরতির রোল। শঙ্খ, ঘণ্টা, সাউন্ড বক্স মানে ধ্বনি। কলরব। আপনি বলবেন এটাই তো এই শহরের পরিচিতি। না তা নয়। এই শহরের ধ্বনি থাকলেও সেটা এই ধরনের ছিল না। আরতির ইতিহাস শতাব্দী প্রাচীন হলেও কাশীর দশাস্বমেধ ঘটে গঙ্গা সেবা সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিদনই গঙ্গা আরতির আয়োজন ১৯৯১ থেকে অনবরত হয়ে চলেছে।
হরিদ্বারের হরকি পৌডিতে যে গঙ্গা আরতি করা হয়, তা আজকের নয়, যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে হারকি পইডিতে মা গঙ্গার আরতি স্বয়ং ভগবান ব্রহ্মা নিজের হাতে করেছিলেন। এখানে করা গঙ্গা আরতি সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপরযুগে এবং কলিযুগেও বর্তমান। 
রামায়ণে রামচন্দ্র গঙ্গারতি করে ছিলেন। তিনি গঙ্গার পুজোও দিয়েছিলেন লঙ্কা যাত্রার করার আগে। রামচন্দ্র দুর্গা পুজোর আয়োজন যখন করেছিলেন তখন তার পুরোহিত হয়েছিলেন শত্রু রাবণ। রাবণ রামের দুর্গা পুজোর দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। সেখানেও রামচন্দ্র এবং রাবণ গঙ্গার জল নিয়ে এসে পুজোর আয়োজন করেছিলেন। দুর্গা পুজো গঙ্গার জল না পেলে অসমাপ্ত হয়ে থাকতো। সেটা কোন রকমভাবে হতে দেননি রামচন্দ্র।
প্রাচীনকাল থেকে এই গঙ্গা আরতির পদ্ধতিগত রূপের সঞ্চালনার জন্য শ্রী গঙ্গা সভার প্রতিষ্ঠাতা ভারতরত্ন মহামনা পণ্ডিত মদন মোহন মালব্যের কৃতিত্ব৷ ১৯১৬ সালে শ্রী গঙ্গা সভা নির্মাণের পর মালব্য নিজ হাতে গঙ্গা আরতি করেছিলেন। তারপর থেকে আজ অবধি হারকি পৌড়ি ঘাটে প্রতিদিনই গঙ্গা আরতি করা হয়। বলতে গেলে এক প্রকার বাধ্য হন ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে। 
১৯১৪ সালে, ব্রিটিশ সরকারের খাল বিভাগ দ্বারা গঙ্গার উপর একটি বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই খবর শোনা মাত্র হরিদ্বারের স্থানীয় তীর্থযাত্রী পুরোহিত এবং শ্রীমহন্তরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, ভারতরত্ন মহামনা পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আন্দোলনের ফলে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের সিংহাসন নড়ে ওঠে এবং ব্রিটিশ সরকার আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়। ভারতরত্ন মহামনা পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য ১৯১৬ সালে হরিদ্বারের তীর্থ পুরোহিত এবং শ্রী মহন্তের সহযোগিতায় শ্রী গঙ্গা সভা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই আরতির পিছনে উদ্দেশ্য ছিল, ভারত বাসি নিজের সম্পদ ও সংস্কৃতির রক্ষার্থে সব ভেদাভেদ ভুলে একত্র ও সংগঠিত হয়ে। যাতে ব্রিটিশদের দ্বারা এমন কোনও কাজ আর না করা হয়।
বারাণসীর কেদারঘাট, অসিঘাট প্রায় সব ঘাটেই গঙ্গারতির আয়োজন করা হয়েছে। দশাশ্বমেদ ঘাটে সন্ধ্যা ছটার সয়ে গঙ্গারতি করা হয়। তারপরে কেদারঘাটে সাড়ে ছটায়, অসি ঘাটে সন্ধ্যা সাতটা গঙ্গারতির আয়োজন করা হয়ে থাকে। সর্বপ্রথমে দশাশ্বমদে ঘাটে গঙ্গারতি দিয়ে শুরু হয়। সেটা শেষ হলে তারপরে আর ঘণ্টা বাদ বাদ অন্য সব ঘাটে গঙ্গারতি হতে থাকে। কলকাতায় এবার থেকে গঙ্গারতি দেখতে পাওয়া যাবে। তারপর সেই গঙ্গারতি ক্রমশ প্রায় সব গঙ্গার তীরে আরতি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বেনারস থেকে থেকে কলকাতা কেনপিছিয়ে থাকবে। গঙ্গাসাগর মেলা জনপ্রিয় হতে শুরু করলে তার মধ্যে দিয়ে গঙ্গারতি আয়োজনের ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। বাগবাজার ঘাটে গঙ্গারতির আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে। বাবুঘাটে গঙ্গারতি করার কথা ভাবতে শুরু করেছে সবাই। হরিদ্বারে প্রথম গঙ্গারতি শুরু করেছিলেন পণ্ডিত মদনমোহন মালবীয়। সালটা ১৯১৪-১৫। তারপরে মালবীয় মডেল মানা হয়নি। একেবারে নতুন চিন্তা নিয়ে গঙ্গারতি শুরু হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। এরপরে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে গঙ্গারতির আয়োজন শুরু হয়ে গেল। গঙ্গা সাগরে গঙ্গারতি দেখতে পাওয়া গেল। গঙ্গারতি ক্রমশ বৃদ্ধি লাভ করতে শুরু করে দিয়েছে। দেখাদেখি না জানি আরও কত জায়গায় আরতি আরম্ভ হবে তা হোক। নদীর কলুষিত অবস্থানের কি হবে? নদীর বহমানতার কি হবে? প্রশ্ন জাগে মহামনা সেই সময় নদির অপর বাঁধের জন্য বিরধিতা করেছিলেন কিন্তু আজ কত নদীর অপর একের পর এক বাঁধ হয়েই চলেছে। প্রতিবাদ শুনছে কে? 
গঙ্গা নদী বিশ্বাস, আশা, সংস্কৃতি এবং বিচক্ষণতার প্রতীক, সেইসাথে অনাদিকাল থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকার উৎস। ভারতীয় উপমহাদেশে সামাজিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের কেন্দ্র এবং হিন্দুধর্মে বিশেষভাবে পবিত্র। ভারতে গঙ্গা নদীর প্রতি বিশেষ বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা ভারতীয় সংস্কৃতির মতোই পুরানো। প্রাচীন ভারতীয় ধর্মগ্রন্থ যেমন: বেদ, পুরাণ, মহাভারত, রামায়ণ এবং আরও বেশ কিছু গ্রন্থে এগুলো ব্যাপকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, গঙ্গার প্রতি শ্রদ্ধা ভারতীয় পরিচয়ের একটি অংশ এবং ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতীক। সংস্কৃতি ও সভ্যতার লালন-পালনে গঙ্গার ইতিহাস তার অববাহিকায় স্থানীয় সংস্কৃতিকে লালন-পালন, সিন্ধু-সরস্বতী অববাহিকা সভ্যতাকে তার ভাঁজে স্থানান্তরিত করার এবং ভারতীয় সভ্যতার বিকাশের জন্য সংস্কৃতির একীকরণের প্রচারের মাধ্যমে প্রশংসা করা হয়। এর বিস্তৃত অববাহিকা ভারতের জল সম্পদের এক-চতুর্থাংশের জন্য দায়ী এবং ৪০৭ মিলিয়নেরও বেশি ভারতীয় বা ভারতের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের আবাসস্থল। গঙ্গা অববাহিকা, তার উর্বর মাটি সহ, ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ের কৃষি অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য অবদানকারী। গঙ্গা এবং এর উপনদীগুলি তাদের পথ বরাবর ভূগর্ভস্থ জলের টেবিল রিচার্জ করার পাশাপাশি একটি বৃহৎ অঞ্চলে সেচের একটি বহুবর্ষজীবী উত্স সরবরাহ করে। কৃষি, পশুপালন ও মৎস্য, পর্যটন, নদীভিত্তিক বাণিজ্য ও পরিবহনে সহায়তার মাধ্যমে নদীটি ভারতীয়দের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এবং বাংলাদেশি জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের জীবিকা, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এই নিবন্ধটি গঙ্গার একটি ম্যাক্রো দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করার চেষ্টা করে এবং এর ঐতিহাসিক, আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক এবং আর্থ-সামাজিক বৈশিষ্ট্য এবং বিবেচনাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি বিস্তৃত প্রেক্ষাপট প্রদান করে যা প্রায়শই বৈজ্ঞানিক কাগজপত্রে অস্পৃশ্য থাকে। 
ভারতীয় পুরাণে গঙ্গার আগমন সম্পর্কে কাহিনী সবার জানা রয়েছে। গঙ্গা না থাকলে ভারতীয় সভ্যতার বিকাশ একেবারে হতো না সেটা প্রমাণিত। তবে গঙ্গা কবে থেকে পবিত্রতা লাভ করতে শুরু করলো সেটা জানা একেবারে অসম্ভব না হলেও কিছুটা আভাস পাওয়া যায়। ভারতীয় লৌকিক সাহিত্য রামায়ণ এবং মহাভারত পর্ব থেকে গঙ্গা মাহাত্ম্য এবং পবিত্রতা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ভারতের হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে গঙ্গাকে পবিত্র বলে গ্রহণ করতে শুরু করে দিয়েছিল। ওস্তাদ বিসমিল্লা খান রোজ সকাল বেলায় গঙ্গা স্নান না করে, সানাই ধরতেন না। বেনারস ছাড়া তিনি আর কোথাও বসবাস করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। কবি তুলসী দাস 'রামচরিতমানস' রচয়িতা গঙ্গা এবং বেনারস ছিল পবিত্র স্থান। কারণ। তিনি মনে করতেন স্বয়ং শিব মুমুর্ষর কানে রাম নাম জপ করে তাকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করতেন। গঙ্গা তীরে মহলে মোক্ষ, আর দূরে মরলে নরক বাস। সেই কারণে মৃতদেহগুলিকে সৎকার করার ব্যবস্থা ন গড়ে উঠতে শুরু করে দিয়েছিল গঙ্গার র তীরেই। যেখানে গঙ্গা নেই সেখানে বাধ্য হয়ে কোনও জলাধারে শ্মশান নির্মাণ করা। কিন্তু, শ্মশানে পোড়া মরদেহর ভশ্ম নদীর জল ধারায় প্রবাহিত করার চলনে নিয়ন্ত্রন প্রয়োজন। তা কি আদৌ করা গেছে বা যাচ্ছে?
রিসার্চ বলছে, ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তম নদী গঙ্গার চলমান দূষণ মানব স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীটি ভারতের ১১টি রাজ্যের প্রায় ৪০% জনসংখ্যাকে জল সরবরাহ করে । আনুমানিক 500 মিলিয়ন লোকের জনসংখ্যাকে পরিবেশন করে, যা বিশ্বের অন্যান্য নদীর তুলনায় বেশি। গঙ্গা মানব বর্জ্য এবং শিল্প দূষক দ্বারা মারাত্মকভাবে দূষিত হয়। বর্তমানে, গঙ্গাকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নদী হিসাবে বিবেচিত। ৬০০ কিমি (৩৭০ মাইল) এর বেশি প্রসারিত এলাকাকে পরিবেশগতভাবে মৃত অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।
উত্তরের সমভূমিতে উৎপন্ন সমস্ত পয়ঃনিষ্কাশনের তিন-চতুর্থাংশ গঙ্গা ও তার উপনদীতে ফেলার আগে সম্পূর্ণ অপরিশোধিত থেকে যায়। নদী পরিষ্কার করার জন্য বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা উল্লেখযোগ্য ফলাফল দিতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচিত হওয়ার পর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নদী পরিষ্কার এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। পরবর্তীকালে, জুন ২০১৪ বাজেটে, সরকার ‘নমামি গঙ্গা’  প্রকল্প ঘোষণা করে। ২০১৬ সালে, আনুমানিক ৩০ বিলিয়ন রুপি (US$460 মিলিয়ন ) নদী পরিষ্কার করার জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টায় ব্যয় করা হয়েছিল, সামান্য লাভ হয়নি।
বর্তমান সরকারের আগেও অনেক প্রচেস্তা করা হয়েছে। যেমন, গঙ্গা মহাসভা - গঙ্গার প্রতি নিবেদিত একটি ভারতীয় সংগঠন, যা ১৯০৫ সালে মদন মোহন মালভিয়ার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ সংগ্রামের পর ব্রিটিশ ভারত ৫ নভেম্বর ১৯১৪-এ গঙ্গা মহাসভায় সম্মত হয়, এই বলে যে গঙ্গার নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ হিন্দুদের প্রাথমিক অধিকার। দিনটি ভারতের ইতিহাসে "অভিরাল গঙ্গা সমঝোতা দিবস" (নিরবচ্ছিন্ন গঙ্গা প্রবাহ চুক্তি দিবস) হিসাবে পরিচিত। চুক্তিটি ১৯ ডিসেম্বর ১৯১৬-এ অস্তিত্বে এসেছিল, যা ১৯১৬ সালের চুক্তি নামে পরিচিত। চুক্তির পবিত্রতা স্বাধীনতার পরে ভারতের রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারগুলি সংরক্ষণ করে না, যদিও এটি আইনত বৈধ। সেচ ব্যবহারের জন্য নদীর পানিকে আরও বেশি করে ডাইভার্ট করা হচ্ছে, যা দূষণ ও স্ট্রেনকে বাড়িয়ে তুলছে। 
১৯৮৫ সালের জুন মাসে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী দ্বারা গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান (GAP) চালু করা হয়ে। যার মধ্যে ২৫টি শহর কে যুক্ত করা হয়ে (উত্তর প্রদেশে ৬টি, বিহারে ৪টি এবং পশ্চিমবঙ্গে ১৫টি); ₹ 862.59 কোটি টাকা খরচ হয়ে। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল গার্হস্থ্য পয়ঃনিষ্কাশনকে আটকানো, ডাইভারশন এবং শোধনের মাধ্যমে পানির গুণমান উন্নত করা এবং চিহ্নিত দূষণকারী ইউনিট থেকে বিষাক্ত ও শিল্প রাসায়নিক বর্জ্য নদীতে প্রবেশ করা রোধ করা।
এত কিছু প্রকল্পের পরেও গঙ্গার জলের শুদ্ধতা নিয়ে আজও কন নিবারণ দেখা যাচ্ছে না। তার কারণ সাধারন মানুষ। তাকে সচেতন হতে হবে। নদী কে নিজের মতন করে বইতে দিন। নিজের মত করে বাচতে দিন। তবেই উদযাপিত হবে আপনা গঙ্গা দশহরা।

Comments

Popular posts from this blog

আচার্য ভরত প্রস্তাবিত অভিনয়রীতি

কাশীর বাঙালী টোলার দ্বীতিয় পাতালেশ্বর