Posts

Showing posts from June, 2024

तंत्रकथा 3

Image
तथागत जब बोधिसत्व नहीं बने थे, यानी देव दत्त से भी पहले; जयदेव उस काशी में विचरण करता था, जब काशी ने किसी नगर का रूप नहीं धरा था। रूप लेता भी कैसे तीन पहाड़ थे और बस एक नदी का किनारा भर था। किनारे, जहां दूर दूर तक काश वन हुआ करते थे। नदी तो गंगा ही थी पर भगीरथ कथा का प्रवचन, प्रचलन में नहीं था। नगर न होने से नर-नारी भी नहीं थे। जहां नदी में मगरमच्छ का बोलबाला था। वहीं किनारों पर बाघ का राज चलता था। जाने कब उनमें यह समझौता हो चुका था कि दिन में किनारों पर मगरमच्छ धूप सेक लेंगे और बाघ रात में नदी के पानी से अपनी प्यास बुझा लेंगे। यह नियम अब भी लागू है। पर कभी कभी किसी बाघ को या फिर मगरमच्छ को यह नियम तोड़ने का मन करता है। वो यह नहीं समझते कि जो नियम पहले से बना है वो अब प्रकृति का नियम हो गया है। उनके इस क्षणिक लालसा से प्रकृति के नियम में खलल पड़ता है और झेलना जयदेव को पढ़ता है। अल सुबह बाघ को जमीन खोदते देख मगरमच्छ ने पूछा गर्मी बहुत अधिक है तुम्हारे इस रवैए को देखकर मानना ही पड़ रहा है। बाघ ने काम जारी रखते हुए कहा - ऐसा क्यू।  मगर ने कहा - सुना है दिमाग में गर्मी लगने पर...

ভুলে যাওয়া উদ্ভাবকের স্মরণে

Image
ভুলে যাওয়া উদ্ভাবকের স্মরণে জয়দেব দাস রাধিকা নাথ সাহা নামটি এক মহান উদ্ভাবকের, কাশীর সেই বিশেষ নাগরিক যে শতাব্দী আগে স্বনির্ভর ভারতের ভিত্তি স্থাপনে বিরল ভূমিকা রেখেছিলেন। দুঃখের বিষয় উনিশ শতকের প্রথম দশকে পেটেন্ট তালিকায় ভারতের নাম নথিভুক্ত করার পরও ইতিহাসের পাতায় স্থান পায়নি। যে সময়ে এদেশে একটি ছুঁচ তৈরি করার ভাবনা স্বপ্ন সম, সেই সময়ে রাধিকানাথ সাহা দেশীয় ফাউন্টেন পেন উদ্ভাবন করেন। ২১ জুন তার জন্মদিন নিরবেই কাটিয়ে দিল দেশ।  বর্তমানে হাতে লেখার অভ্যাস ক্রমশ ক্ষয় পাচ্ছে। সঙ্গে লেখনি মানে পেনের প্রতি দুর্বলতা মানুষের থাকছে না। অথচ এক সময় বিভিন্ন ধরনের পেন সংগ্রহ কর্তাদের রেষারেষির অভাব ছিল না, কিশোর থেকে যুবক - যুবতি থেকে বৃদ্ধা সবার প্রিয় ছিল তাঁর নিজের পছন্দের পেন। সেই বিভিন্ন ধরনের পেনের মধ্যে ঝর্ণা কলম বা ফাউন্টেন পেন এমন এক বিশেষ ধরনের কলম যাতে তরল কালি বিশেষ প্রকোষ্ঠে সঞ্চিত থাকে। বিশেষ প্রকোষ্ঠটির সাথে একটি সরু পথ দিয়ে কলমের নিবটি যুক্ত থাকে এবং মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে ওই পথ ধরে আসা কালি দিয়ে লেখা সম্ভব হয়। বিশেষ প্রকোষ্ঠটিতে সিরিঞ্জের মাধ্যমে বাইরে থেকে...

বর্তমান কি আদৌ ভারত মাতা মন্দির মনে আছে

Image
বারানসীর কড়চা  জয়দেব দাস, কাশী  কাশী, শব্দ টি কানে এলেই মনে এক ধরনের ভাব জাগে। ভক্তিভাবই সব ভাবের উর্ধে। কানে ভেসে আসে গঙ্গার কুল কুল শব্দ, ঘাটের উপর বিশাল প্রাসাদের খোপে বাসা বাধা পাখিদের কলরব, নানা ঘণ্টি, খুঞ্জুনির কিরতন। চখের সামনে সেই শহরের চিত্র-উতসব, আরতি, দেবালয়, মন্দির …। কল্পনাতেও আসে নে যে কাশীতে এমনও কোন মন্দির থাকতে পারে যেখানে কোন দেব বা দেবী নেই, নিত্য পূজা আর্চাও নেই, নেই কোন পুরহিত, নেই কোন শঙ্খ ধ্বনি অথবা ধুনি!  বারাণসী জঙ্কশন স্টেশনে নেমে যে রাস্তাটি গোদৌলিয়ার দিকে যায়, সেই পথে কিছু দুরেই মহাত্মা গান্ধী কাশী বিদ্যাপীঠ নামক এক বিশ্ববিদ্যালয় তারই প্রাঙ্গনে এই মন্দির। মন্দিরের কোন চুড়ো নেই, দেখলে মনে হয় দু’তলা বাড়ি। মন্দিরে ভাবনায় ও স্থাপনে ডক্টর শিব প্রসাদ গুপ্ত।  শিব প্রসাদ গুপ্ত একজন দূরদর্শী, জনহিতৈষী, ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন নেতা এবং মহাত্মা গান্ধী কাশী বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতা।  অত্যন্ত ধনী শিল্পপতি এবং "জমিদার" পরিবারের হলেও, তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের জ...

গঙ্গা দশহরা, কাশী 2024

Image
মোঘল শাসনের অবসানের পর থেকেই বারাণসীর গঙ্গায় একের পর এক ঘাট নির্মিত হয়েছে। হয়েচে ঘাটের সংলগ্ন অট্টালিকা, প্রাসাদ ও রাজমহল। ব্রিটিশ চিত্রশিল্পী উইলিয়াম হজেস, টমাস ড্যানিয়েল থেকে শুরু করে জেমস প্রিন্সেপ যখন বেনারস নিয়ে মাতোয়ারা। ফ্যানি পার্কস মারিয়া গ্রাহাম সহ আরও অনেকে ছবি আঁকে মুগ্ধ হয়েচে এই কাশীর প্রেমে। মিরজা গালিবের চিরাগ-এ-দাইর কে ভুলতে পারে। কথা হল কাশীর মহাত্য এই গঙ্গার জন্য। সৌন্দর্যও তাঁরই জন্য। কল্পনা করুন কাশী গেলেন আর নদী পেলেন না। পাথরের সেই ঘাটের অপরের অট্টালিকা গুলোর পায়ের তলায় যে নদী বয়ে যেত সেখানে দূর পর্যন্ত সুধুই ধু ধু মাঠ! ব্রহ্মপুরাণ অনুসারে জ্যৈষ্ঠ শুক্ল দশমীতে গঙ্গা স্নান করলে নাকি তিনটি শারীরিক, চারটি মৌখিক ও তিনটি মানসিক পাপ সহ দশ প্রকার পাপ মোচন হয়ে যায়। ছয়টি দোষ সমাধান হয়। গঙ্গার জলে উপস্থিত বৈশিষ্ট্যগুলি গ্রহগুলির অশুভ প্রভাব দূর করে। বিভিন্ন গ্রহ দোষ, মাতৃ ও পিতৃ দোষের যন্ত্রণা প্রশমিত হয়। যে কোনো রোগ, দুর্যোগ ও ভয়-বন্ধন থেকেও মুক্তি পায়। সর্বার্থ সিদ্ধ যোগ, রবি যোগ এবং অমৃত সিদ্ধি যোগের সাথে গঙ্গা অবতারনা উৎসব ১৬ই জুন উদযাপিত হবে। গঙ্গ...

বারানসীর শ্রীক্ষেত্র নব সংস্কারের পথে

Image
  কাশী ধামে শ্রী শ্রী মা সারদা গঙ্গা স্নান সেরে অসি ঘাট থেকে গেলেন অসি মাধব দর্শনে। অসি মাধব জগন্নাথের রূপ। বিগ্রহ দর্শনে সানন্দ- বিস্ময়ে মাতা বলিয়া উঠিলেন,-ওমা কাশীতেও জগন্নাথ এসে বসে আছেন! তা বেশ হয়েছে, যিনি জগন্নাথ তিনিই বিশ্বনাথ। অসি মাধব জগন্নাথের এই প্রাঙ্গণই হল কাশীর শ্রীক্ষেত্র, অসি ঘাটের ঠিক অপরেই এক বিশাল প্রাঙ্গন জুড়ে এই দেবালয়। জগন্নাথ, সুবোধরা ও বলভদ্র প্রতিষ্ঠিত। নিত্য পুজো হয়। আশি ঘাটের কাছে অবস্থিত জগন্নাথ মন্দিরটি ওড়িশার পুরীতে অবস্থিত জগন্নাথ ধামের একটি প্রতিরূপ মনে করা হয়। এই মন্দিরটি ১৮০২ সালে ভোঁসাল রাজ্যের দুই নাগরিক বিশ্বম্ভর রাম এবং বেণী রাম দ্বারা নির্মিত। বিশ্বাস করা হয় যে বারাণসীতে অবস্থিত এই মন্দিরে দর্শনে ভক্তরা ওডিশায় অবস্থিত জগন্নাথ ধামের মতোই পুণ্য ফল পান। দেবতাদের পূজার আচার ও পদ্ধতি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতোই। এই মন্দিরের চার কোণায় চারটি বৈষ্ণব দেব মূর্তি রয়েছে, যথা কৃষ্ণ, রাম পঞ্চায়েত, কৃষ্ণের কালিয়ামর্ধন রূপ এবং লক্ষ্মী-নারায়ণ। রথের দিনে জগন্নাথ, সুবোধরা ও বলভদ্র এই তীন বিগ্রহ কে পালকি করে নিয়ে জাওয়া হয় রথজাত্রা নামক স্থান...