Posts

Showing posts from 2023

কুলসাই উৎসব

Image
      ।। উৎসব কুলাসাই বা কুলসাই দশেরা ।। কুলসাই দশরা (দশেরা) হল একটি সাংস্কৃতি গ্রামীণ উৎসব যা তামিলনাড়ুর থুথুকুডি জেলার থিরুচেন্দুরের কাছে ছোট শহর কুলাশেখরপত্তনমে অবস্থিত ৩০০ বছরের পুরানো শ্রী মুথারম্মন মন্দির বা কুলসাই মুথারম্নম মন্দিরে বিখ্যাত দশেরা উৎসবের সময় পালিত হয়। কুলাশেখরপত্তনম নামটি পান্ডিয়ান শাসক মারাবর্মন কুলাশেকার পান্ড্যন প্রথম থেকে নেওয়া হয়েছে এবং এটি ১২৫০ খ্রিস্টাব্দের মার্কো পোলোর ভ্রমণ ডায়েরিতেও উল্লেখ করা হয়েছে।  নবরাত্রি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই দশ দিন ধরে এই উৎসব চলতে থাকে এবং দশম দিনে অর্থাৎ দশেরার দিনে মাগিসাসুরান (মহিষাসুর) নামক রাক্ষসকে বধের উদযাপনে শেষ হয়। পৌরাণিক মহাকাব্যটি এই রূপ - একবার নিষ্ঠুর শক্তিশালী রাক্ষস মাগিসাসুরানের নির্যাতনের কাছে অসহায় হয়ে স্থানিও রা তাদের দেবীর কাছে এসেছিল। তারপর দেবীর শক্তিতে একটি শিশু সন্তানের জন্ম হয় এবং তার নাম হয় ললিথাম্বিগাই।  শিশুটি মাত্র নয় দিনের মধ্যে একটি অতিপ্রাকৃত শক্তির মাধ্যমে পূর্ণ বয়স্ক হয়ে ওঠে, যেগুলিকে নবরাত্রির দিন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। দশম দিনে, সে নিজেকে প...

গানের সঙ্গে জিলিপি সেবনের উৎসব - কাজরি

Image
গানের সঙ্গে জিলিপি সেবনের উৎসব   আজ কাশীর সঙ্গীত ঐতির্য্যের এক বিশেষ দিন থুড়ি রাত। আজ সারা রাত কাশীর প্রায় সব অঞ্চলের অধিবাসী রাত্রি জাগরণ করবেন। সারা রাত কাজরি শুনবেন ও গাইবেন। আর সঙ্গে এক বিশেষ মিষ্ঠানের সেবন এর পরম্পরা। সেই মিষ্টান্ন হল জলেবি বা জিলিপি।  ময়েরা এই জিলিপির ব্যবস্থায় দু এক দিন আগে থেকেই ব্যস্ত। আজ সারা রাত জিলিপি কেনা বেচা হবে। জিলিপির সাইজ আড়াই প্যাঁচ থেকে হাজার প্যাঁচ এর ওপর নির্ভর করছে।  কাজরি পূর্ব উত্তর প্রদেশের একটি বিখ্যাত লোক সঙ্গীত ও উপ শাস্ত্রীয় সংগীত। কাজরি উৎপত্তিস্থল মির্জাপুর বলে ধারণা করা হয়। মির্জাপুর হল পূর্ব উত্তর প্রদেশে গঙ্গার তীরে অবস্থিত একটি জেলা।  কাজরি বর্ষার মঙ্গলের লোকগান। সাওয়ান মাসে গাওয়া হয় থেকে। ধ্রুপদী গানের স্পর্শে বিকশিত এবং বেনারস ঘরানার গানে বিশেষ প্রভাব দেখা যায়। বর্ষাকালের বর্ণনা বেশির ভাগই পাওয়া যায় কাজরি গানে, আর বিরহের বর্ণনা এবং রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের বর্ণনা দেখা মেলে। কাজরির প্রকৃতি ক্ষুদ্র এবং শৃঙ্গার রস প্রাধান। উত্তরপ্রদেশ এবং বেনারসে কাজরি গান বহুল প্রচারিত। প্রাচীনকাল থেকেই, ...

কাশীতে বিপ্লবী - সিদ্ধযোগী কালীপদ গুহরায়

Image
বিপ্লবী - সিদ্ধযোগী কালীপদ গুহরায় কাশীর মানসরবর ঘাটের ওপর এক বাড়ির নাম ' মানসরবর '। এই বাড়ির একটি ঘর সাক্ষী হয়ে আছে সিদ্ধযোগী কালীপদ গুহরায় মহাশয়ের কাশী বাসের। প্রথম জীবনে তিনি একজন বিপ্লবী ছিলেন। পরবর্তী জীবনে সাধনা বলে সিদ্ধযোগী হয়েছিলেন। আনন্দময়ী মা, মহামহোপাধ্যায় গোপীনাথ কবিরাজ এবং কাশী-নরেশ পর্যন্ত সবাই ভালোবাসতেন অথবা শ্রদ্ধা করতেন তাঁকে।  কালীপদ গুহ রায় জন্ম ১৯০২ সালে, কেন্দুয়া-ফরিদপুর অঞ্চলে। ভারতচন্দ্ৰ। মাদারীপুর হাইস্কুল থেকে প্ৰবেশিকা পাশ করে কলিকাতার আশুতোষ কলেজ, রংপুর কলেজ ও দৌলতপুর কলেজে অধ্যয়ন করেন। অল্প বয়স থেকেই বিপ্লবী যুগান্তর দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৯৩০ খ্রী. থেকে আট বছর কারারুদ্ধ থাকেন।  Cellular জেলের এক ফলকে ভারতীয় বিপ্লবীদের নাম তালিকায় তার নাম খোদিত আছে। মুক্তিলাভের পর সাহিত্যচর্চা ও সাংবাদিকতায় মন দেন। যৌবনে নিজ সম্পাদনায় ‘চক্ৰবাক’ নামে একটি সাময়িক পত্রিকা প্ৰকাশ করেছিলেন। কিছুদিন বন্ধু কাজী নজরুল-সম্পাদিত ‘নবযুগ’-এর সম্পাদকমণ্ডলীর প্রধান হিসাবে কাজ করেন। ইংরেজী ও বাংলা উভয় ভাষাতে কবিতা লিখতে এবং বক্তৃতা দিতে...

বাদল বাবুর কাশীলাভ

Image
না বাদল বাবুর কাশী লাভ হয়নি, কিন্তু তাঁর কৃতি এখানে বার বার আলোচিত - মঞ্চিত বারংবার হয়েছে, হয়ে চলেছে। এটাই তাঁর কাশী লাভ মনে করা যেতেই পারে। গোপীনাথ কবিরাজ মহাশয় এর জ্ঞানগঞ্জ বই টি আমার কাছে অনেক দিন দুর্বোধ্য ছিল। বিশেষ করে একটা মানুষ নিজের দেহ এক জায়গায় রেখে, সারা পৃথিবী কি করে বিচরণ করতে পারে ! আমার কাছে এটাই ছিল পরম আশ্চর্যের। এই আশ্চর্যের সমন কিছুটা বাদল বাবুই আমার জীবনে করেছেন, এ কথা বলতে পারি। বাদল বাবু কাশী তে নিজে না এলেও তাঁর কৃতি সারা পৃথিবীর মত কাশী তেও সমাদৃত হয়েছে। এখানকার নাট্য বিদ দের ভাবিয়েছে, মঞ্চায়ন করতে বাধ্য করেছে।   আজ তাঁর জন্মদিন। আমি নিজের কথা আরম্ভ করছি, বাদল বাবু ও তাঁর কৃতি আমার ঝুলিতে যখন যে ভাবে এসেছেন, সেখান থেকেই। আজ এটাই আমার তাঁর প্রতি বিনীত শ্রদ্ধা জ্ঞাপন।  গন্ডি  ১৯৯৭, কাশীর বাঙালি টোলা অঞ্চলের তারা বাড়ি। এই তারা বাড়ি (মন্দির) রাণী ভবানীর অবদান ও কীর্তি, কাশীর মানুষের মনে রাখতে বাধ্য করে। সেই তারা বাড়ির বিরাট উঠোনে বাদল বাবুর নাটক গন্ডির মহড়া চলছে। তখন ভরা শীত। হাড় কাঁপানো শীতের মাঝে যদি বর্ষা হয়ে তাহলে আর কথা...

চৌকি ঘাট, কাশী

Image
                         চৌকি ঘাট চৌকি ঘাট কাশীর বাঙালি টোলা অঞ্চলের ঠিক মাঝা মাঝি। এক পাশে কেদারেশ্বর অন্য দিকেই  ক্ষেমেশ্বর  মহাদেব নামেই দুই বাঁধা ঘাট এই ঘাটের নাম চৌকি ঘাট বলে কেনো খ্যাত তার নানান মতবাদ প্রচারিত। অনেকে বলেন ঘাটের উর্ধের গলি পথ চৌ রাস্তার সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য নাকি এই ঘাটের নাম চৌকি। ঘাটের সিড়ি তে সদ্য এক লোহার সরকারি ফলকে এটাই খোদিত।  কিন্তু, আমার মনে হয় বিষয় টির কারণ অন্য। চৌকি ঘাটের গলি যে বড় রাস্তায় গিয়ে মেশে তার নাম সোনারপুরা। আর সোনারপুরা থেকে অনতি দুরাই ভেলুপুর থানা। থানা কে এখানকার আমজন চৌকি বলে থাকেন। সেই পুলিশ চৌকি থেকেই এই ঘাটের নাম চৌকি ঘাট হয়ে থাকবে। চৌকি ঘাটের পুরানো নাম গৌরেণ ঘাট।  গৌরেণ আসলে গৌরাঙ্গর অপভ্রংশ। শ্রী সমীর নাথ মহাশয় জানান যে,  এই ঘাটে ছিল এক গৌরাঙ্গ মন্দির। মন্দিরে ছিল সোনার  গৌরাঙ্গ  মূর্তি। বর্তমানে এই মূর্তিটি নেই ও মন্দিরটি ঠিক কোন জায়গায় ছিল সে কথা বলা মুশকিল। আজো এই এলাকার পুরানো লোক জনেরা গৌরেন ঘাট বলে থাকেন। ...

প্রয়াত হলেন কাশীর সঙ্গীত সাধক ডাঃ দেবব্রত ভট্টাচার্য

Image
প্রয়াত ডাঃ দেবব্রত ভট্টাচার্য আজ প্রভাতে কাশীর সঙ্গীত জগতের অনন্য তবলা শিল্পী শ্রদ্ধেয় দেবব্রত ভট্টাচার্য হৃদয় আঘাতে দেহ ত্যাগ করেন।  তাঁর অসময় পরায়ণ কাশীর সঙ্গীত সমাজ কে স্তব্ধ, মর্মাহত করে দিয়েছে।  ২৬ অক্টোবর ১৯৫৫ কবিরাজ আশু বাবুর ঘরে পুত্র রূপে জন্ম। শৈশবে  পড়ার সঙ্গে তবলা প্রশিক্ষণ শুরু হয়। সেই সময় তার কাকা প্রয়াত পণ্ডিত শ্রী শ্রীতোষ ভট্টাচার্যের দক্ষ নির্দেশনায় প্রাথমিক তবলা প্রশিক্ষণ শুরু হয় এবং তারপরে পিতা, প্রখ্যাত তবলা বাদক প্রয়াত পণ্ডিত শ্রী আসুতোষ ভট্টাচার্যের কাছ থেকে তবলা শিক্ষা গ্রহণ করেন। সঙ্গীতের সঙ্গে মেডিকেলে বি এ এম এস পূর্ণ করেন। মেডিকেল অফিসার ইনচার্জ হয়ে। সরকারি হাসপাতাল যোগ দেন ১৯৮৩।  ২০১৪ সালে নিজের পেশা থেকে অবসর নেন। সঙ্গীতে অর্জন - ১৯৭৭ সাল থেকে অল ইন্ডিয়া রেডিও শিল্পী এবং পরবর্তী কালে " দূরদর্শন কেন্দ্র" দিল্লী শিল্পী রূপে যোগদান করেন। - কলেজ তবলা প্রতিযোগিতায় তিনবার প্রথম স্থান অর্জন। - উত্তর প্রদেশ সঙ্গীত একাডেমী লখনউ-এর বিশেষ বিভাগে পুরস্কার প্রাপক। - এলাহাবাদে সর্বভারতীয় তবলা প্রতিযোগিতার  বিশেষ বিভাগে...

मृणाल सेन का सिने भुवन - गिरीश कासाराभल्ली

Image
  भारतीय सिनेमा के चाहने वाले हमारी उतनी ही पसंद करते हैं, उतनी ही मृणाल सेन की फिल्में देखने का मौका नहीं मिलता - बदकिस्मती के सिवा और क्या कहते हैं? हमारे देश में फिल्म देखने का सिस्टम ही गड़बड़ है। हमारा दुर्भाग्य क्या है, जानते हैं? हम यूरोपियन 'मास्टर्स' जैसी फिल्में देखते हैं, उतनी ही कम भारतीय 'मास्टर्स' फिल्में देखती हैं। इसलिए, शुरुआत में ही एक बात मन लेना अच्छा है। मैंने मृणाल सेन की कुछ फिल्में देखी हैं, और उनमें से ज्यादातर एक ही देखी गई हैं। परिणामस्वरूप, मैं इस आलेख में इन छवियों को देखने से कुछ खंडित भावों को प्राप्त करना या उनका दस्तावेज़ीकरण करना पसंद करूंगा। सच कहूं तो मैं सत्यजीत रे या ऋत्विक घटक की फिल्मों से ज्यादा पेश किया गया था, जिनके साथ मृणाल सेन का नाम बंगाली फिल्मों की महान टिकड़ी के रूप में लिया जाता है। मैंने जितनी बार सत्यजीत-ऋतिक की फिल्में देखीं, उतनी बार मुझे मृणाल सेन की फिल्में देखने का मौका नहीं मिला। मैंने उनकी 'भुवन सोम' से पहली फिल्में नहीं देखी हैं, हालांकि मैंने उनके बारे में कई-कई बातें पढ़ी हैं। फिर, मैंने 'आमार भु...

চড়ক শিবের গাজন

Image
Illustration of Charak Puja from Twenty-four plates illustrative of Hindoo and European Manners in Bengal (1832) by Sophie Charlotte Belnos (1795-1865) সেকালে ‘বাণ ফোঁড়া'-র প্রথা ছিল। চড়ক যেদিন হইবে, সেই দিন প্রাতে গাজনের সন্ন্যাসীরা কালীঘাটে যাইত। যে-ক'জন লোকে বাণ ফুঁড়াইবে তাহারা তৈয়ারি হইত। কে একজন বিশিষ্ট বলবান লোক ছিল, সে গাজনের সন্ন্যাসীর পিঠে জোরে এক কিল মারিত, মারিলে পিঠ ফুলিয়া উঠিত তখন বাঁ-হাতে পিঠের চামড়া টানিয়া ধরিয়া ডান হাতে ধারালো বঁড়শির মতো হুক বিধাইয়া দিত। পিঠে এইরূপ দুইটি বড়শি বিধাইত ও রক্ত বাহিত হইত। কিন্তু সেই স্থানে গাওয়া ঘি গরম করিয়া মালিশ করিলে রক্ত পড়া বন্ধ হইত। আবার, কেহ কেহ বা জিভেতে ফুটো করিয়া এক বিঘত, দেড় বিঘত অশত্থচারা শেকড়শুদ্ধ সেই জিভের ফুটোতে বসাইত এইরূপ বাণ ফুঁড়াইয়া তাহারা রাস্তা দিয়া নাচিতে নাচিতে যাইত। ― মহেন্দ্রনাথ দত্ত কাশী শিবের প্রধান ও প্রিয় নগর হলেও শিব কে ঘিরে লোক উৎসব যত বাংলায় দেখা যায় সে অর্থে কাশীতে দেখি না। শিব কে ঘিরে বাংলার কোনো লোক উৎসবের কথা বলতে হলে, চড়ক উৎসবের কথা প্রথমেই মনে পড়ে।  চড়ক পূজা পশ্চিমবঙ্গ, ...